SICCIN
SICCIN

সিক্কিন ১ম পর্ব পুরো ছবির গল্প ব্যাক্ষা সহ বর্ণণা

Posted on

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা দেখবো সাল ২০১৪ তে মুক্তি পাওয়া টার্কিস হরোর মুভি সিক্কিন পার্ট -১  এর এক্সপ্লেনেশন। এই মুভিটি সত্য ঘটণা অবলম্বনে তৈরি। ভিডীওটি শুরু করার আগে আপনারা যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটনটি অনকরে দিন, যাতে আমাদের নতুন ভিডীও আসলে সবার আগে নোটিফিকেশন চলে যায় আপনার কাছে। তাহলে চলুন মুভিটি এক্সপ্লেনেশন শুরু করা যাক।

ছবির শুরুতে দুইজন মেয়েকে দেখানো হয়। যার মধ্যে একজনের নাম ছিলো ওজনুর। সে তার এক বান্ধবীর সাথে তন্ত্রমন্ত্র করে এমন এক ওঝার কাছে আসে। আএ ওজনুর এর কুদরেত নামক এক ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। সেই ছেলেটি ওজনুর এর আন্টির ছেলে। মানে ওজনুরের চাচাতো ভাই৷ ওজনুর এখানে এসে ওঝার কাছে জানতে চায় তার কুদরেতকে বিয়ে করা কি সঠিক নাকি ভুল সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ওঝা মৃত আত্মাকে সেখানে ডাকে। সেই আত্মা ওজনুর এর বন্ধবীর শরীরে প্রবেশ করে আর তাকে বলে তার কুদরেতকে বিয়ে করা উচিত নয়। কুদরেতকে বিয়ে করলে তাকে পস্তাতে হবে। তার কুদরেত থেকে দূরে থাকা উচিত। নয়তো কুদরেত এর কারণে তার মৃত্যুও হতে পারে। 

এর পর কাহীনি ১২ বছর এগিয়ে যায়। আর আমরা ওজনুরকে কোন এক লোকের সাথে ঝগড়া করতে দেখি। যে আর কেউ নয় কুদরেতই ছিলো। তাদের দুইজনের কথা শুনে জানা যায়। ওজনুর ওঝার কথামত কুদরেতকে বিয়ে করে নি। যার জন্য কুদরেত অন্য কোন এক মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু কুদরেত এবং ওজনুর এর মধ্যে অবৈধ মেলামেশা ছিলো, পাশাপাশি ওজনুর কুদরেতের বাচ্চার মাও হতে যাচ্ছিলো। সে চারমাস ধরে প্রেগনেন্ট ছিলো। এই কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিলো। কারণ কুদরেত এই বাচ্চাটিকে নিতে চাচ্ছিলো না। কিন্তু ওজনুর এই বাচ্চাটিকে জন্ম দিতে চায়। যাতে কুদরেত বাধ্য হয়ে তাকে বিয়ে করে। ঝগড়ার মধ্যে এক সময় কুদরেত ওজনুরকে ধাক্কা দেয়৷ প্রেগনেন্ট হওয়ায় ওজনুরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়৷ তার শরীর নিচের অংশ থেকে ব্লিডিং হতে শুরু করে। ফলে কুদরেত তাকে নিয়ে হসপিটালে যায়।

এরপর মুভিতে কুদরেতের পরিবারকে দেখানো হয়। কুদরেতের স্ত্রীর নাম ছিলো নিসা, তাদের মেয়ে সেয়দা যে কিনা চোখে দেখতে পায় না। সাথে ছিলো কুদরেতের বুড়ি মা যে কিনা পেরালাইসিসড ছিলো। সে সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতো। 

অন্যদিকে আমরা হসপিটালে কুদরেত এবং ওয়াজনুরকে কথা বলতে দেখি। ওয়াজনুর জ্ঞান ফিরলে জানতে পারে তার বাচ্চা মারা গেছে। যার জন্য সে খুব কষ্ট পাচ্ছিলো আর এরজন্য সে কুদরেতকে দায়ী করতে থাকে। অন্যদিকে কুদরেত এর জন্য অনেক খুশি ছিলো। কারণ ওয়াজনুর এখন আর তাকে বিয়ে করার জন্য ব্লেকমেইল করতে পারবে না। সে ওয়াজনুরকে তার পরিবার থেকে দূরে থাকতে বলে সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু ওয়াজনুর কসম খায় সে কুদরেতকে তার জীবনে এনেই ছাড়বে।

রাতে কুদরেত যখন ঘুমাচ্ছিলো তখন ওর মেয়ে সেয়দা তার কাছে আসে। তার হাতে দুটি চোখ ছলো আর সে কুদরেতকে বলছিলো সে যেনো এই চোখ দুটি তার চোখে লাগিয়ে দেয় যাতে সে  তাকে দেখতে পারে। আর তখনই কুদরেতের ঘুম ভেঙে যায়। আসলে সে স্বপ্ন দেখছিলো। এরপর কুদরের সেয়দার রুমে যায় যেখানে সে শান্ত ভাবে ঘুমিয়ে ছিলো৷ কুদরেত সেয়দার অন্ধ হওহার জন্য নিজেকে দায়ি ভাবে কারণ যখন নিসা প্রেগনেন্ট ছিলো তখন সে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায় নি। যার কারণে ডেলিভারির সময় সায়দার চোখে আঘাত লাগে। আর এখন সে কখনো আর চোখে দেখতে পাবে না। যার কারণে কুদরেত নিজেকে দোষী ভেবে আফসোস করে৷ 

অন্যদিকে আমরা জানতে ওয়াজনুর আলী ইসমাইল নামক এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলো।কিন্তু আলী বিয়ের কিছু পরই মারা যায়। আর এখন ওয়াজনুর তার শাশুড়ীর সাথে থাকে।  এরপর ওয়াজনুর কোথাও যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলো। সে কুদরেতকে ফোন করে। কিন্তু কুদরেত তাকে বলে তাদের মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। সে যেনো তাকে আর কখনো ফোন না দেয়। এই কথা বলে কুদরেত ফোন কেটে দেয়। রাগে তখন ওয়াজনুর সেখান থেকে কোন এক জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

এইদিকে আমরা সায়েদাকে তার রুমে কোব এক কারণে কাদতে দেখি। সে নিসাকে বলে তার সাথে খারাপ কিছু একটা হয়েছে। নিসা যেনো কুদরেতকে এই ব্যপারে না বলে। সায়েদার সাথে আসলে কি হয়েছিলো তা আমরা একটু পর জানতে পারবো। 

ওইদিকে ওয়াজনুর এক ওঝার কাছে যায়। সে যেকোন মূল্যে কুদরেতকে পেতে চায়। সে ওযাকে কিছু অর্থ এবং গয়না দিয়ে তার কাছে সাহায্য চায়। ওঝা তখন ওয়াজনুরের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়৷ ওঝা বলে সে কুদরেতের স্ত্রী নিসার উপর শূকরের মাধ্যমে যাদুমন্ত্র করবো। এইটা অনেক শক্তিশালী কালোজাদু যা শুধু আমিই করতে পারি। সে বলে শয়াতানি আত্মার মধ্যেও মুসলিম এবং খ্রিস্টান ভেদাভেদ  রয়েছে। তার মধ্যে এক জাত হচ্ছে ট্রাইব আজনির। তারা মুসলিমদের সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে। এই শয়াতানী আত্মাদের মধ্যে একজনকে আমাদের মানাতে হবে। এর পর সে নিশাকে বশিভূত করে ফেলবে। আর এমন করার ৫ দিনের মধ্যেই নিশার মৃত্যু হবে। এমনকি নিসার সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন সকলের মৃত্যু হবে। এরপর কুদরেত তার হয়ে যাবে। কিন্তু এই কাজ সফল করতে হলে ওয়াজনুরকে নিসার কিছু জিনিস আনতে হবে। যেমনঃ তার চুল, নোখ, জামাকাপড়  অথবা তার রক্ত। আর সবচেয়ে জরুরী তার একটি ছবিও লাগবে।ওয়াজনুর এসব আনতে সেখান থেকে বের হয়ে যায়৷ আর ওঝা তার কালোযাদুর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। সবার প্রথমে সে একটি শূকর কেটে তার কলিজা বের করে নেয়। তারপর সে কবরস্তান থেকে নতুন দাফন করা লাশ বের করে। আর সেই শূকরের কলিজা মরা লাশের পায়ের কাছে রেখে দেয়। 

পরের দিন ওয়াজনুর কুদরেতের বাসায় যায় তার জিনিসপত্র জোগাড় করতে। কুদরেত তখন বাসায় ছিলো না। এতে ওয়াজনুর এর জন্য সুবিধা হয়েছিলো। তার কাজ আরোও সহজ হয়ে গিয়েছিলো। ওয়াজনুর এর বাসায় আসার সাথে সাথে কুদরেতের মা কিছু খারাপ আত্মার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। ওয়াজনুর নিসার সাথে কথা বলার সময় বাহানা করে ওয়াসরুমে যায়।যেখানে সে নিসার চুল এবং ব্যবহার করা একটি সেনিটারি ন্যাপকিন পায়।এই জিনিসগুলো ব্যাগে নিয়ে ওয়াজনুর সেখান থেকে চলে যেতে থাকে। তার সায়েদার জন্য খারাপ লাগছিলো। কারণ নিসার সাথে সেও মারা যাবে। সেখান থেকে যাওয়ার সময় তার সাথে কুদরেতের দেখা হয়। সে নিজের বাসায় আসছিলো। সে ওয়াজনুরকে দেখে রেগে যায়। আর তাকে তার বাসা থেকে দূরে থাকতে বলে।

আরোও পড়ুনঃ ক্যাচ দ্যা গোস্ট ছবির গল্প ব্যাক্ষা সহ বর্ণণা পর্ব ১

এরপর ওয়াজনুর ওঝার কাছে গিয়ে তাকে সেই সব জিনিসগুলো দিয়ে দেয়। আর ওঝা জীনকে ডাকার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। ওঝা সেই সেনিটারি ন্যাপকিনে লাগা রক্ত দিয়ে শূকর এর কলিজা ধুতে শুরু করে। তারপর কিছু মন্ত্র পাঠ করে সে এই বিধী পূর্ণ করে। তারপর সেই ওঝা ওয়াজনুরকে বলে আগামী ৫ দিন কুদরেতের বাসায় অশরীর ছায়া নেমে আসবে এবং আগামী ৫ দিন নিসার ছবি কুকুরকে খাওয়ানো হবে। 

প্রথমদিন আমরা সায়েদা এবং তার দাদীকে একটি রুমে দেখি৷ যেখানে তার দাদীর হঠাত করে কিছু হয়ে যায়। আর সে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে শুরু করে। তখন সায়েদা ওকে অদ্ভুত ভাবে শান্ত থাকতে বলে। ওইদিন সন্ধ্যায় নিসা যখন নামাজ পড়ছিলো তখন সে তার রুমে কিছু মাথা কাটা শূকর পড়ে থাকতে দেখে। যা দেখে নিসা অনেক ভয় পেয়ে যায়। পরের দিন নিসার সাথে আরোও ভয়ানক কার্যকালাপ  শুরু হয়। যখন সে সায়দের রুমে যায় তখন তাকে সেই শয়তানী আত্মা বশ করে নেয়। আর নিসা সায়েদার পুতুল এবং নিজের চুল কেটে খেতে শুরু করে। রাতে কুদরেত যখন বাসায় আসে নিসা এইসব ব্যপারে তাকে খুলে বলে। কিন্ত সে তার কথায় ভরসা করে না। সে নিসাকে পাগল বলে তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে।

সেই রাতে ওয়াজনুর এর সাথেও কিছু আজব ঘটণা ঘটতে থাকে৷ যখন সে ঘুমে ছিলো তখন সে তার মরে যাওয়া সামী আলীকে দেখতে পায়। যার পুরো শরীর রক্তে মাখামাখি ছিলো। সে দেওলে তার মাথা ঠুকছিলো। সে ওয়াজনুরকে বলে সে ওয়াজনুরের কারণেই তার গলা কেটে আত্মহত্যা করেছিলো। কারণে সে কুদরেত এবং ওয়াজনুরের সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিলো। এখন সে ওয়াজনুরকে মেরে ফেলবে। এই কথা বলে আলী তার হাতে একটি ব্লেট নিয়ে ওয়াজনুর এর দিকে এগোতে থাকে। যা দেখে ওয়াজনুর জোড়ে চিৎকার করতে শুরু করে। আর তখনই তার ঘুম ভেঙে যায়৷ আর যখনই সে বিছানা থেকে নামতে যাবে তার পায়ে সেই ব্লেট ঢুকে যায় যার মাধ্যমে আলী আত্মহত্যা করেছিলো। ওয়াজনুর তখন চিন্তায় পরে যায় এই সব তার সাথে কি হচ্ছে!  

এরপর তৃতীয় দিন যখন নিসা তার শাশুড়ীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন করে রান্নাঘরে যায় তখন তার শাশুড়ীকে এক শয়তানী আত্মা বশ করে ফেলে। সে পেরালাইজড হওয়া সত্তেও ভয়ানক ভাবে হাটতে থাকে আর রান্নাঘরে গিয়ে উত্তপ্ত গরম সুপ তার মাথায় ঢেলে দেয়। যার কারণে তার সেখানেই মৃত্যু হয়৷

সবাই যখন শোক পালন করতে কুদরেতের বাসায় আসে তখন সেখানে ওয়াজনুরও আসে। সে সেখানে কষ্ট পাওয়ার ভান করলেও মনে মনে সে অনেক খুশি হয়। কারণ তার ইচ্ছা পূরণ হচ্ছিলো। এরপর আমরা রাতে সায়েদাকে রাতে একা একা কাদতে দেখি। সেই রাতে কুদরেত যখন তার বাসায় ফিরে তখন বাসার দরজা নিজে থেকে খুলে যায়। সে বাসার মধ্যে ওয়াজনুর এবং নিসাকে শয়াতানি আত্মার রূপে দেখতে পায়। তারা কুদরেতকে ভয় দেখায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর কুদরেত দেখে সেখানে শুধু তার মেয়ে সায়েদাই ছিলো। আর কেউ ছিলো না। এখন কুদরেতও নিসার কথায় বিশ্বাস করতে শুরু করে। পরের দিন সে নিসাকে বলে সেও তার মতো বাসায় কিছু অদ্ভুত কার্যকালাপ লক্ষ্য করেছে। 

আর এই সব কিছুর সমাধানের জন্য সে এক পাদ্রীর সাথে দেখা করতে যায়। পাদ্রী থেকে সে জানতে পারে তার স্ত্রীকে কোন এক শয়তান জীন বশ করেছে।সেই জীনের হয়তো কুদরেতের সাথে কোন শত্রুতা রয়েছে নয়তো তার কোন শত্রু কালোযাদু করে তার সাথে এইসব করছে। কুদরেত সেই জীন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পাদ্রীর কাছে সাহায্য চায়। সেই পাদ্রী তাকে সাহায্য করার জন্য রাজী হয়ে যায়। এরপর সেই রাতে নিসা বাসায় তার শাশুড়ীর আত্মা দেখতে পায়। যা দেখে সে খুব ভয় পেয়ে যায়। সে তখন সেখানে প্রার্থনা করা শুরু করে। ঠিক সেই সময় সেখানে কুদরেত চলে আসে। নিসা ওকে সব খুলে বলে। কুদরেত নিসাকে বুঝিয়ে বলে কাল পাদ্রী এই সমস্যা সারজীবন এর জন্য দূর করে দিবে৷ 

ওইদিকে আমরা ওয়াজনুরকে দেখতে পাই। সে নিসাকে শয়তানি রূপে দেখতে পায়। নিসা তার হাতে এক সদ্য জন্মানো বাচ্চা নিয়ে বসেছিলো। আর এই বাচ্চা ওয়াজনুরের ছিলো। এই বাচ্চা ওয়াজনুরের পেটেই মারা গিয়েছিলো। সেই শয়তানী আত্মা ওয়াজনুরকে ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে গায়েব হয়ে যায়। 

পরের দিন সকাল অর্থাৎ ৫ম দিন ওয়াজনুর সেই ওঝাকে ফোন করে। সে ওঝাকে বলে কুদরেতের পরিবারের এক সদস্য মারা গেছে কিন্তু সে নিজেও শয়াতানী আত্মার ভয়ানক স্বপ্ন দেখছে। এই কালোযাদুর কারণে তার জীবনের কোন ঝুকি আছে কিনা সে জানতে চায়। তখন ওঝা বলে তোমার নিসার সাথে কোন রক্তের সম্পর্ক নেই। তাই তোমার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই৷ ওয়াজনুর এবং ওঝার মধ্যে হওয়া সব কথা ওয়াজনুরের শাশুড়ী লুকিয়ে শুনে ফেলে। 

ওইদিকে নিসা যখন সায়েদাকে তৈরি করছিলো তখন হঠাত করে সেই শয়তানী জীন নিসাকে বশ করে নেয়৷ নিসা সায়েদার সামনেই ফাসি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঠিক সেই সময় কুদরেই সেখানে পৌছে যায় আর নিসাকে রক্ষা করে। আর অন্য দিকে আমরা দেখতে পাই এইসব ঘটণার মাঝে সায়েদা অদ্ভুত ব্যবহার করছিলো।এরপর ওয়াজনুর এর শাশুড়ী নিসার বাসায় এসে ওঝা এবং ওয়াজনুরের মধ্যে হওয়া সব কথা বলে দেয়। কুদরেত তখনই নিসাকে নিয়ে সেই পাদ্রীর কাছে চলে যায়।

ওইদিকে আমরা ওয়াজনুরকে দেখি৷ সে খাবার খাচ্ছিলো। হঠাতই তার খাবার রক্ত আর জোকে বদলে যায়। যা দেখে ওয়াজনুর বমি করে ফেলে। এরপর সে সেই ওঝাকে ফোন করে। কিন্তু তখনই তার সামনে কেউ একজন আসে যা দেখে সে ভয় পেয়ে যায়৷ তখন কোন এক শয়তানী জীন ভয়ানক ভাবে তাকে বশ করে তার শরীরে সমস্ত হাড় ভেঙে দেয়।  যার কারণে তার সেখানেই মৃত্যু হয়। ওয়াজনুরের কেনো মৃত্যু হয়েছিলো তা আমরা একটু পরই জানতে পারবো। 

ওইদিক কুদরেই নিসাকে নিয়ে সেই পাদ্রীর কাছে পৌছে যায়। সে ওয়াজনুরের ব্যপারে সব খুলে বলে। পাদ্রী বুঝে যায় ওয়াজনুর কোন শয়তানী শক্তির সাথে চুক্তি করেছে। যার কারণে এখন নিসাকে বাচানো আরো কঠিন হয়ে গেছে। পাদ্রী তাদের দুইজনকে এক রুমে নিয়ে যায়। পাদ্রী নিসাকে এক চেয়ারের সাথে বেধে ফেলে। তার চার পাশে কোরআন দিয়ে ঘেরাও করা ছিলো।যাতে সেই জীন সেখান থেকে পালাতে না পারে। 

নিসার মুখ ও তখন ঢেকে দেয়া হয়। তখন পাদ্রী নিসাকে ঝাড়ফুক করা শুরু সাথে তার উপর পবিত্র পানি ছিটাতে শুরু করে। তখন সেখানে সায়েদা এসে পড়ে। তাকেও কোন এক জীন বশ করে রেখেছিলো। তখন নিসা কুদরেতকে জিজ্ঞাসা করে সে তাকে কেনো ধোকা দিয়েছে? তখন বশীভূত নীশা  কুদরেতের উপর হামলা করে তাকে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু পাদ্রী তাকে কোন মতে চেয়ারের সাথে বেধে ফেলে।আর নিসাকে এক লাঠী দিয়ে মারতে থাকে। সে বলে এর ফলে শুধু সেই শয়তানী জীনের শরীরে আঘাত লাগবে আর সে নীসার শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। 

কিন্তু নিসার কলাল থেকে রক্ত পড়া শুরু হয় আর তার সেখানেই মৃত্যু হয়। যা দেখে কুদরেতে পাদ্রীর উপর রেগে যায় আর তার গলা চেপে ধরে। তখন পাদ্রী বলে এর মানে নিসা কখনো বশীভূত বা অভিশপ্ত ছিলোই না। সে পিছনে আঙুল দিয়ে সায়েদার দিকে ইশারা করে বলে সেই শয়তানী জীন সায়েদাকে বশ করেছে। আর এখানে আমরা ছবির আসল কাহিণী বুঝতে পারি৷ আমরা সেই দৃশ্য দেখি যেখানে সায়েদা নিশাকে এক গোপণ কথা বলেছিলো। আসলে সেইদিন সায়েদার প্রথম পিরিয়ড হয়েছিলো। 

আর যেই সেনিটারি ন্যাপকিন নিসা ওয়াসরুম থেকে চুরি করেছিলো তা নিসার নয় বরং সায়েদার ছিলো। আর চিরুনিতে থাকা চুলও তার ছিলো। ফলে নিসার বদলে সেই কালোযাদু সায়েদার উপর কাজ করা শুরু করে৷ আর সেই শয়তানী জীন সায়েদাকে বশ করে ফেলে। যার ফলে সে এক একজনকে তার সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন সবাইকে মারা শুরু করে। সে সবার প্রথমে তার দাদীকে মেরেছিলো।তারপর ওয়াজনুরকে।কারণ ওয়াজনুর কুদরেতের মামাতো বোন ছিলো। তাই সে ওয়াজনুরকেও মেরে ফেলে। আর ওয়াজনুর সেই রাতে তার রুমে যাকে দেখেছিলো সে আর কেউ নয় সায়েদাই ছিলো। এরপর সায়েদা কুদরেতের দিকে তাকায়। 

আর এই ছবি এখানেই শেষ হয়ে যায়। মুভির শেষে আমরা জানতে পারি সেই জীন  কুদরেত এবং সায়েদাকেও মেরে ফেলে।আর ৫ দিনের কালো জাদু শেষ হয়। মুভির শেষ এটাও বলা হয় এই ছবিটি সত্য ঘটণা অবলম্বণে তৈরি। এক পরিবারের বাবা,মা এবং মেয়ের লাশ এক মসজিদে পাওয়া গিয়েছিলো।তাদের মৃত্যুর কোন কারণ খুজে না পাওয়ায় সেখানকার পাদ্রীকেই তাদের খুনের জন্য দায়ী করা হয়৷ প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কালো জাদু করে। আর পরিণামও হয় ভয়াবহ। আর এর সাথেই সিক্কিন প্রথম পর্বের কাহীনী শেষ হয়। আশা করছি ভিডীওটি আপনাদের পছন্দ হয়েছে৷ এই রকম আরোও ভিডীও আপনারা দেখতে চাইলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। সবাইকে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *