সিওল মেট্রো স্টেশন। পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মেট্রো রেলওয়ে স্টেশন। সিওল শহরের প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন এই আন্ডার গ্রাউন্ড মেট্রো ব্যবহার করে যাতাইয়াত করে। এখানে মোট ১৫ টি লাইন এবং ৩০০ স্টেশন রয়েছে। এতো বড় মেট্রো ব্যবস্থাপণা হওয়ায় এখানকার ক্রিমিনালরাও এই মেট্রো স্টেশনের যাত্রীদের টার্গেট করে। অদ্ভুত ভাবে এক এর পর এক খুন হচ্ছে এই সিওল মেট্রো স্টেশনে। ওনেকে বিশ্বাস করে এটা ভৌতিক কর্মকান্ড। তাইতো সাবওয়ে গোষ্ট নামের আতংক পুরো মেট্রোকে ঘিরে। সাথে রয়েছে অদ্ভুত এক সাহসী মেয়ের অদ্ভুত সব কর্মকান্ড। কে করছে এসব খুন? সত্যি কি কোন ভূতের উপদ্রব? নাকি রয়েছে অন্য কোন রহস্য? আজ আপনাদের সাথে আমি হাজির হয়েছি ২০১৯ এ মুক্তি পাওয়া থ্রিলার, রোমান্টিক কোরিয়ান ড্রামা Catch The Ghost এক্সপ্লেনেশন নিয়ে। আশা করছি সাসপেন্সে ভরপুর এই ড্রামাটি আপনাদের অনেক পছন্দ হবে।
বিশাল জনবহুল সিওল মেট্রো স্টেশনের শান্তি রক্ষার জন্য একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পুলিস ফোর্স রয়েছে । আজকে সেই আন্ডার গ্রাউন্ড পুলিশ ফোর্সের ৩০ বছর পূর্তি সম্পন্ন হয়েছে। তাই তা সেলিব্রেট করার জন্য সিওলের কমিশনার মেট্রোতে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসেছে। কমিশনার এর নাম কিম হিয়ং জা। কমিশনারই আন্ডার গ্রাউন্ড পুলিশ ফোর্স এর হেড। কমিশনার তার পুলিশ ফোর্সের ৩০ বছরের সাফল্যে গর্বিত। তাইতো সিওলের সব সাংবাদিকদের মেট্রোতে ডেকে ৩০ বছর উদযাপন করতে কমিশনার নিজে এসেছেন। প্রদর্শনিতে আন্ডার গ্রাউন্ড পুলিশ ফোর্সের সদস্যরা কিভাবে ক্রিমিনাল ধরে তার অভিনয় করে দেখাবে।
কমিশনার মেট্রোতে প্রবেশের পথে রাস্তায় আমরা ড্রামাটির ফিমেল লিড ক্যারেক্টার ইও রিওং কে দেখতে পাই। সে সেখানে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে কর্মরত রয়েছে। মেট্রোতে পোঁছে কমিশনার ভেংসুরি স্টেশনের পুলিশ অফিসার কো যার পুরো নাম কো জি সিওক তাকে অভিনয় প্রদর্শনী করে দেখাতে বলে। কো জি সিওক আমাদের এই ড্রামাটির লিড মেইল ক্যারেক্টার। অফিসার কো তার দুই সাথিকে নিয়ে মেট্রোতে যখন পকেটমারদের ধরার অভিনয় করে দেখাচ্ছিলো, তখন হঠাৎ কমিশনার লক্ষ করে তার পকেট কাটা। কেউ তার ওয়ালেট চুরি করে নিয়ে গেছে। শুধু কমিশনার নয় সেই বগিতে থাকা অনেক সাংবাদিক, পুলিশদেরও ওয়ালেট পকেট থেকে চুরি হয়ে গেছে। কমিশনার ট্রেন থামিয়ে সেই বগিতে থাকা সবার তল্লাশি নিতে নির্দেশ দেয়। তল্লাশি নেয়ার সময় অফিসার কো জি সিওক সেখানে প্যাসেঞ্জারদের সিটের ভিতর এক লোকের গলা কাটা ভয়ংকর লাশ দেখতে পায়।
মুহুর্তে গোটা শহরে এই খবর ছড়িয়ে পরে। কমিশনার এর উপর চাপ আসতে শুরু করে মিডিয়া এবং শহরের মানুষজনের। এক মিডিয়া প্রেস ব্রিফিং এ কমিশনার ৩ মাসের মধ্যে মেট্রোর এই সিরিয়াল কিলিং এর আসামীকে ধরার প্রতিজ্ঞা করে। অর্থাৎ, এর আগেও আরোও অনেককে একই রকম ভাবে মেট্রোতে মেরে ফেলা হয়েছে। এইটা কোন এক সিরিয়াল কিলারের কাজ। কমিশনার সেই সিরিয়াল কিলার এবং মেট্রোতে পুলিশদের বোকা বানানো পকেটমারদের ৩ মাস এর মধ্যে ধরতে না পারলে তার পজিশন থেকে রিজাইন এর ওয়াদা করে।
প্রেস ব্রিফিং শেষে কমিশনারকে বেশ উত্তেজিত দেখায়। তিনি সিওককে জিজ্ঞেস করেন তিনি ভালোভাবে মেট্রো চেক করেছিলেন কিনা রাতে। সিওকে বলে সে খুব ভালোভাবে মেট্রো চেক করেছিল। কমিশনার তখন জানতে চায় তাহলে এই লাশ কিভাবে আসলো। সেখানে আরো উপস্থিত ছিল জেনারেল ইনভেস্টিগেশন ১ এর চিফ হামারি। হামারি সম্পর্কে কমিশনারের মেয়ে।কমিশনার হামারিকে বলে তুমি দুই বছর ধরে কোন উন্নতি করতে পারোনি। তুমি যদি মনে কর তোমাকে দিয়ে হবে না তাহলে বলে কেন দিচ্ছো না। হামারি তখন বলে এই দুই বছর আমি শুধু সিরিয়াল কিলিং কেসের উপর নজর দেইনি। আমি আরো দুইটি কে সলভ করেছি। আমি এই কেসটাও সলভ করতে পারব। কমিশনার তখন জেনারেল ইনভেস্টিগেশন ১ কে সিরিয়াল কিলিং রহস্যের আসামীদের ধরতে দায়িত্ব দেয়। আর সিওককে দায়িত্ব দেয় লোকাস্টদের ধরার জন্য। মূলত লোকাস্ট একটি পকেটমার গ্যাঙ। সিওক হামারিকে বলে আমরা যেহেতু একই স্টেশনে কাজ করছি তাই এই কেসে আমি তোমাকে সব রকম সহায়তা করব। হামারে সিওককে বলে একে কোঅপারেট করা বলে সাহায্য করা নয়। হামারি কোন এক কারণ এস সিওকেকে দেখে খুশি ছিল না। কেন কি কারণে তা আমরা পরে জানতে পারব।
সিওল মেট্রোতে এর আগে তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। এবারের পাওয়া লাশটি চার নম্বর। সিরিয়াল কিলার টিকেট ব্যারিয়ার থেকে স্টেশনে যাওয়ার পথে ভিকটিমদের কিডন্যাপ করে তারপর তাদের খুন করে মেট্রোতেই রেখে দেয়। মিডিয়া তাই এই সিরিয়াল কিলিরের নাম দিয়েছে subway gost। জেনারেল ইনভেস্টিগেশন একের দায়িত্ব এই সাবওয়ে গোস্টকে খুঁজে বের করা। অন্যদিকে মেট্রোতে যেসব পকেটমার হচ্ছিল সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে একটি সংবদ্ধ চক্র করে আসছিল। তারা পকেট কাটার সময় তাদের সাইন সেখানে রেখে আসে। মিডিয়া এদের নাম দিয়েছে লোকাস্ট। সিওককের এর আন্ডারগ্রাউন্ড পুলিশের দায়িত্ব এই লোকাস্টদের খুঁজে বের করে ধরা। তাই সিওক সিদ্ধান্ত নেয় পুরো মেট্রোতে তল্লাশি করার।
সিওক শেষ ট্রেনের তল্লাশির সময় একটি মেয়েকে মরার মত পড়ে থাকতে দেখে। মেয়েটি আর কেউ না আমাদের গ্রামার লিড ফিমেল ক্যারেক্টার ইও রিয়ং। সিওক কনস্টেবল ইওরিংকে দেখে ভেবেছিল মরে পড়ে আছে। হঠাৎ একজন লোক ইওরিং এর দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে। সে তার গলা থেকে গয়না খুলে নেয় সেই সাথে লোকাস্টের মতো সাইন দিয়ে ব্যাগ কেটে জিনিস নিয়ে নেয়। আসলে ইওরিং সেখানে মরার ভান করে পড়েছিল। ইওরিং সেই লোককে তাড়া করতে যাবে অফিসার সিওক বলে এটা আমাদের কাজ। তখনই ইওরিং অফিসার সিওকের হাতে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে মেট্রো তে রেখেই সেখান থেকে চলে যায় লোকাস্ট ধরতে। সিওক ট্রেনে আটকে থেকেই চিৎকার করে তাকে হ্যান্ডকাফ খুলে দেয়ার জন্য বলতে থাকে।
ইওরিওং লোকাস্ট কে তাড়া করার সময় তাকে হারিয়ে ফেলে। কিন্তু ইওরিওং খুবই বুদ্ধিমান একটি মেয়ে। গোটা মেট্রো স্টেশন তার মুখস্থ। কোথায় কোন দোকান আছে কোন ময়লার ডাস্টবিন কত মিটার দূরে আছে সবকিছু তার মাথায় কম্পিউটারের মতো সেভ করা। ইওরিওং লোকাস্ট কে এক্সিট পয়েন্টে ধরতে পারবেনা তাই শর্টকাটে এন্ট্রান্সে গিয়ে লোকাস্ট কে ধরে ফেলে।
অন্যদিকে চিফ ইনভেস্টিগেশন এর চিফ হামারি তার পার্টনার হিয়ককে নিয়ে মেট্রো স্টেশনেই সাবওয়ে গোস্টের ইনভেস্টিগেশন করছিল। হামারি হিওককে সিওকের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ নিতে বলে। তখনই তারা দেখতে পায় ট্রেনের মধ্যেই সিওক হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় আটকে পড়ে আছে। বেচারা অনেক চেষ্টা করেও হ্যান্ডকাপ খুলতে পারছিল না। হামারি সিওককে জিজ্ঞাসা করে তোমার কি হয়েছে? সে কোন জবাব না দিয়ে লজ্জায় অন্যদিকে তাকিয়ে বসে থাকে। আর ট্রেন সেই মুহূর্তে ছেড়ে দেয়। সিওক বেচারা পুরো রাত সেই মেট্রো ট্রেনেই আটকা পড়ে থাকে।
পরের দিন সকালে অফিসে সিওক কাজ করছিল। কালকের ঘটনার কারণে সিওক সিদ্ধান্ত নেয় সেও তার সাথে একজন পার্টনার নেবে। তাই আজ সে ইন্টারভিউ নিবে। আর সেই ইন্টারভিউ দিতে সেখানে লোকাস্ট নিয়ে হাজির হয় ইওরিওং। সাবওয়ে পুলিশে জয়েন করার জন্য লোকাস্টকে সে ঘুষ হিসেবে দেখতে বলে। তাকে দেখেই অফিসের সিওক টেবিলের নিচে লুকিয়ে পড়ে। অন্যান্য সদস্যরা মে পার্টনার অফিসে জয়েন করবে ভেবে বেশ খুশি হয়। ইওরিওং যখন সিওককে দেখে ফেলে তখন সিওক টেবিলের নিচ থেকে বের হয়ে ইন্টারভিউ রুমে তাকে নিয়ে যায়।
সে একটি লেটার টাইপ করে। আর লেটারটি ইওরিওংকে হাতে নিতে বলে। লেটারটিতে ইওরিওং এর রিজেকশনের কারণ লেখা ছিল। সিনিয়রের অনুমতি ছাড়া কনস্টেবল নিজে থেকে কোন কাজ করায়, হিউম্যান রাইটের আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে বিনা কারণে হ্যান্ডকাপ পোড়ানো, পুলিশ স্টেশনে এসে ঘুষের কথা বলা এই তিন কারণে ইওরিওং কে ইন্টারভিউতে রিজেকশন করা হলো। ইওরিওং লেটার দেখে সিওককে বলে এটা ভালো হয় না আপনি আমাকে একটি ঘুষি মারুন আর আগে যা হয়েছে সব ভুলে যান। আমি জানি আমাকে নিয়ে আপনার অনেক সমস্যা হয়েছে। সিওক বলে হ্যাঁ তোমার কারনে আমার অনেক সমস্যা হয়েছে কারণ একজন নতুন অফিসার আমার হাতে হ্যান্ডকাফ করে সারারাত আমাকে মেট্রো টেনে আটকে রেখেছিল। আর তুমি এত সব কিছু শুধুমাত্র আমাদের সবই পুলিশের জয়েন করার জন্য করেছ। এর কারণ কি? এর পেছনে কি কোন রহস্য আছে? তুমি যদি আমাকে সত্যিটা না বল তাহলে আমি নিজেই সব সত্যি বের করে নেব। ইওরিওং বলে একটি গ্রুপ আছে নাম পিপল হু লাভ সাবওয়ে। আমি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট। এত দ্রুত ১০০ কিলোমিটার গতিতে যখন মেট্রো ট্রেন ছুটে চলে আমার তখন তা দেখতে খুব ভালো লাগে। তাই আমি সাবওয়ে পুলিশের জয়েন করতে চাই। এসব শুনে সিওক ভাবে মেয়েটি সম্ভবত পাগল। আর নয়তো মাথায় সমস্যা আছে। সিওক তাকে বলে তুমি চাইলে অফিস শেষ করেও যত ইচ্ছা মেট্র টেনে ঘুরতে পারো। এর জন্য তোমার স্যার পুলিশে জয়েন করার কোন দরকার নেই। ইওরিওং বলে স্যার আমি মেট্রো স্টেশনের সবকিছু খুব ভালোভাবে চিনি। তাই বদমাশ দিয়ে ধরার দায়িত্ব আমি নিতে চাই। এইসব বলে ইওরিওং সিওককের হাত চেপে ধরে। একটি ছোট ছিদ্র একটি নৌকাকে ডুবিয়ে দিতে পারে। তুমি কাল যেভাবে কাজ করেছ তাতে আমরা লোকাস্টদের কখনো ধরতে পারবো না। এই বলে সিওক ইওরিওং এর হাত ঝাড়া দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যায়। সেখান থেকে বের হয়ে তারা জানতে পারে ইওরিওং যাকে ধরে এনেছে সে লোকাস্ট নয়, সে সাধারণ পকেটমার। তার ভালো লেগেছে তাই সে লোকাস্টের সাইন নকল করেছে।
পরের দিন আমরা দেখতে পাই সিওক লোকাস্ট ধরার জন্য মেট্রো স্টেশন এর সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে নজরদারি করছিল। সেখানে লিফলেট বিলি করা একটি মেয়ে তার কাজে বাধার সৃষ্টি করছিল। সিওক কিছু বলার আগেই সেই মেয়ে ন্যাকা কান্না শুরু করে দিয়েছিল। তখন সেখানে অফিসার ইওরিওং সিঁড়ি দিয়ে উপরে আসছিল। ইওরিওং এর পিছনে একজন লোক আসে যার পায়ে স্পাইক্যাম লাগানো ছিল। সে সেই স্পাইক্যাম দিয়ে ইওরিওং সহ অন্যান্য মেয়েদের নিচে থেকে গোপন ভিডিও ধারণ করছিল। সিওক তা দেখে ফেলে। সেখানে আরো একজন লোককে দেখা যায় যার পকেটের কলমে স্পাইক্যাম লাগানো ছিল। সিওক ভীড় সরিয়ে তাদেরকে ধরতে এগিয়ে যায়। স্টেশনের বাইরেই সিওক পায়ের জুতোয় ক্যামেরা লাগানো লোককে ধরে ফেলে। সে তার জুতো চেক করে এবং ক্যামেরা খুঁজে পায়। সেই লোক তখন বলে আপনার কাছে প্রমাণ কি আমি এই ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ধারণ করেছি। সিওক তখন বলে আপনি হয়তো জানেন না আমরা এখন সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েই আসি। সে ক্যামেরার মেমরিটি খুলে একটি ডিভাইসে লাগায় চেক করার জন্য। ডিভাইস চেক করে সে দেখে সেই ব্যক্তি ফাইল ইতিমধ্যেই অন্য কাউকে ট্রান্সফার করে দিয়েছে। সিওক তাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি ফাইল কার কাছে পাঠিয়েছো? সে কোন জবাব না দিয়ে বলে আপনি কোন প্রমাণ ছাড়া আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন না। এই বলে লোকটি সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর সেই দুই লোককে আমরা একটি রেস্টুরেন্টে দেখতে পাই। তারা সেখানে গোপনে ধারণ করা ভিডিওর ফাইল দেখছিল। তারা একটি অসাধুচক্র। এভাবে গোপনে ভিডিও ধারণ করে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করে তারপর তাদের গোপন ঠিকানায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা মেয়েদেরকে সেক্সুয়াল হারাসমেন্ট করে। তারা দুইটি মেয়ের ভিডিও ধারণ করেছিল একজন অফিসার ইওরিওং। অন্যজন অচেনা একটি মেয়ে। তারা তাদের ক্লায়েন্টদের এই দুইজন মেয়েদের মধ্যে একজনকে সিলেক্ট করতে বলে। অফিসার ইওরিওংকে অন্য মেয়ের সাথে তুলনা করে কম সুন্দরী হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে দেয়। তাদের বর্তমান টার্গেট এখন অচেনা অন্য মেয়েটি।
এইদিকে ইওরিওং পুলিশে জয়েন করতে না পারায় মন খারাপ করে ট্রাফিক সিগন্যাল সামলাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় অফিসার সিওক তাকে কল করে বলে তোমাকে একটি ক্রাইম রিপোর্ট করতে হবে জলদি অফিসে চলে আসো। ইওরিওং সেখানে এসে বলে যেখানে আমি সুরক্ষিত নই সেখানে তারা অন্য মেয়েদের সাথে ভয়ানক কিছু করতে পারে। আমরা একশন কেন নিচ্ছি না। সিওক বলে প্রমাণ ছাড়া আমরা কোন ওয়ারেন্ট জারি করতে পারি না। আমার মনে হয়না তারা কাজটি নিজেদের জন্য করেছে। আমার মনে হয় তারা এই ভিডিওগুলো অন্য কারো সাথে শেয়ার করবে। তখন ইওরিওং নিজের কথা ভাবতেই চিৎকার করে ওঠে। তারপর সে কম্পিউটার চেক করতে যায়। সেখানে সে তার গোপনে ধারণ করা ভিডিও গুলো দেখতে পায়। তখন সে কম্পিউটার ঢেকে ফেলে আর সিওককে এগুলো দেখতে মানা করে। সিওক বলে আমি প্রমিস করছি আমি এগুলো দেখব না আগে তুমি ফাইলগুলো সেভ করো। কেস শেষ হওয়ার পর আমি নিজে এগুলো ডিলিট করে দিবো।
তখন ইওরিওং সিওককে কম্পিউটারে অন্য একটি মেয়ের ভিডিও দেখতে বলে। সাথে সেখানে একটি ইনভাইটেশন লিংক ছিল। তারা গোপন একটি জায়গায় তাদের সিলেক্ট করা মানুষদের ডেকে সেই মেয়েটিকে সেক্সুয়াল এজাল্ট করার প্ল্যান করছিল। তখন ইওরিওং রেগে যায় আর বলে চলুন স্যার আমরা আমাদের কাজ শুরু করি। সিওক বলে সাবওইয়ে পুলিশ ভায়োলেন্ট ক্রাইম দেখেনা। আমাদের কাজ লোকাস্টদের ধরা। তখন সিওক সাইবারক্রাইম ইউনিটকে কল করে আর বলে অফিসের আমরা একটি রেপ পার্টির ইনভিটেশন পেয়েছি। সাইবার ক্রাইম ইউনিট থেকে বলা হয় এখনো তো কিছুই হয়নি আগে হোক তারপর দেখা যাবে। সিওক অবাক হয়ে বলে সবকিছু হয়ে গেলে তারা সবাই তো গায়েব হয়ে যাবে। এইসব শুনে ইওরিওং এর মেজাজ কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়। সে অফিসের আলমারি থেকে সিওক এর বন্দুক নিয়ে বের হয়ে যায়। সিওক তাকে যেতে দেখে বলে এটা কি আমার বন্দুক? ইওরিওং বলে কিছু সময়ের জন্য ধার নিচ্ছি কাজ শেষ হলে ফেরত দিয়ে যাব। সে তার বন্দুক নিতে ইওরিওং এর পিছনে দৌড়াতে শুরু করে আর বলতে থাকে এই বন্দুক দিয়ে আমরা কাউকে গুলি করতে পারবো না। এটা দিয়ে আমরা শুধুমাত্র ভয় দেখাতে পারব। ইওরিওং বলে আমিও শুধু ভয় দেখানোর জন্য নিচ্ছি। এই বলে সে রাস্তা থেকে একটি স্কুটি নিয়ে চলতে শুরু করে। তাকে তাড়া করতে করতে সিওকও স্কুটিতে উঠে পড়ে। সিওক জিজ্ঞেস করে তুমি কি জানো তারা কোথায় আছে? ইওরিওং বলে সাইবার স্কোয়াড বলতে পারবে আপনি তাদেরকে ফোন করে জিজ্ঞেস করুন।
সিওক খুবই পরিপাটি একজন অফিসার। আইন ভঙ্গ হয় এমন কোন কাজ সে করে না। সে স্কুল থেকে উঠে আগে মাথায় হেলমেট পড়ে নেয়। ইওরিওংকে বারবার বলতে থাকে স্কুটি ধীরে চালানোর জন্য। কে শুনে কার কথা? ইওরিওং পাগলের মত স্কুটি নিয়ে ছুটছে। ট্রাফিকের রেড সিগনাল পড়লে সে দাগের বাইরে চলে যায়। সিওক জোর করে তাকে আবার দাগের ভিতর নিয়ে আসে। ইওরিওং বলে আপনি গাড়ি কেন নিয়ে আসছেন না? সিওক বলে আমাদের কাছে পেট্রোলের গাড়ি হয় না কারণ আমরা সাবওয়ে দিয়ে যাতায়াত করি।
ইওরিওং এত স্পিডে স্কুটি চালাচ্ছিল প্রতিটি গাড়ির সাথে অল্পের জন্য ধাক্কা লাগা থেকে বেঁচে গিয়েছিল। সিওক তো পিছন থেকে চিৎকার করে যাচ্ছে আস্তে চালানোর জন্য। ইওরিওং তার কথায় কোন পাত্তাই দিচ্ছে না। একসময় ইওরিওং জোরে ব্রেক করলে সিওক ইওরিওং এর শার্ট ধরে থাকায় ব্যালেন্স সামলাতে না পেরে তা শার্ট ছিঁড়ে যায়। বাকি রাস্তা তখন সিওক পিছন থেকে ড্রাইভ করে নিয়ে আসে।
স্কুটি থেকে নেমে সিওক ইওরিওংকে তার ব্লেজার খুলে দিয়ে পড়ে নিতে বলে। ইওরিওং বলে স্যার আমার ব্লেজার নয় আপনার শার্টটা চাই। তার একটা রেস্টুরেন্টে যায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য। রেস্টুরেন্টের মালিক বলে এখানে একটি টিম এসেছিল তারা একটু আগেই এখান থেকে চলে গেছে। তার উপর থেকে দেখতে পায় গাড়ি নিয়ে সেই লোকগুলো চলে যাচ্ছে। ইওরিওং উপরে দুই তলা থেকেই নিচে লাফিয়ে পড়ে। সিওক অবাক হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলতে থাকে এই মেয়ে পাগল পুরোই পাগল। এরপর তারা সেই গাড়িটিকে আবার তাড়া করতে শুরু করে। কিন্তু ট্রাফিক সিগন্যালের কারণে কিছু দূর না যেতেই তারা গাড়িটিকে হারিয়ে ফেলে।ইওরিওং স্কুটি নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেটের ভিতর দিয়ে চলে যায়। এখানে সে আবার তার মেধার পরিচয় দেয়। মনে মনে পুরো ম্যাপ মাথায় ঘেঁটে সে গাড়িটিকে ধরার একটি পথ বের করে নেয়। আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট থেকে সে সিওককে স্কুটি নিয়ে বের হতে বলে। আর নিজে চলে যায় গাড়িটিকে ধরতে। সে গাড়িটিকে সামনে এসে ধরে আর তাদের গাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে বলে। লোক দুটো গাড়িটি পিছনে নিয়ে ইওরিওংকে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গাড়িতে যেতে যেতে সেই দুই লোক অন্য মেয়েটিকে এনিস্থিসিয়া দিয়ে কিডন্যাপ করার প্ল্যান করে। সেই মেয়ে কোথায় আছে নজর রাখার জন্য তারা তাদের মেম্বারদের ইতোমধ্যে কাজে লাগিয়ে দেয়। ক্ষুধার্ত জানোয়ারের মতো তারা মেয়েটির উপর নজর রাখছিল। ইতোমধ্যেই সেই দুই লোক ফোন করে তাকে ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ভয় দেখাতে শুরু করে। সিওক ইওরিওং স্কুটি নিয়ে সেখান থেকে যাবে, সিওক দেখতে পায় ইওরিওং তার দিয়ে স্কুটি স্টার্ট করার চেষ্টা করছে। ইওরিওং পুলিশ স্টেশনের সামনে থেকে স্কুটিটি পড়ে থাকতে দেখে চুরি করে নিয়ে আসে। সিওক বলে এর চাবি কোথায়? ইওরিওং বলে চাবি তো এর মালিকের কাছে। আমাদের কাছে কোন উপায় ছিল না আর স্টেশনের সামনে পড়ে থাকতে দেখে আমি নিয়ে এসেছি। এসব দেখে সিওক হতভম্ব হয়ে যায়।
পুলিশ স্টেশনে ফিরে এসে তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা দুই স্টেশনে আলাদা হয়ে মেয়েটিকে খুজবে। তাছাড়া তাদের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে হবে কারণ তারা জানে না মেয়েটিকে ঠিক কোন জায়গা থেকে কিডন্যাপ করা হবে। সিওক হেড মিনিস্ট্রিকে একটা লেটার লিখতে বলে। সিসিটিভি ফুটের চেক করতে হলে তাদের আগে পারমিশন নিতে হবে।ইওরিওং বলে আজকে আমাদের নাইট ডিউটি। লেটার লিখে সময় নষ্ট করে কি প্রয়োজন! আমরা তাকে রিকুয়েস্ট করলেই তো পারি। সিওক বলে সিস্টেমের বাইরে গিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না। ইতোমধ্যে টেবিলের বক্স থেকে একটি চাকু নিয়ে ইওরিওং সিসিটিভি রুমের দিকে ছুটে চলে। চাকুরী সে রুমের দরজা খুলে ফেলে। সিওক রেগে তখন তাকে বলে আমি এই ছিদ্রর কথাই বলছিলাম তুমি পুরো নৌকো ডুবিয়ে দিবে। ইওরিওং বলে এখানে ছিদ্র তো স্যার আপনি। এখানে পুরো সিস্টেমই বাজে। তাদের উপর আমরা কোন ভরসা করতে পারিনা। সিওক তখন কিছু একটা ভেবে তার কথায় সম্মতি দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে রাজি হয়ে যায়। তারা কোনমতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্টেশনটি খুঁজে বের করে আর দেখে সেই মেয়েটি সকাল আটটায় স্টেশনে এসেছিল। সে একটি ওয়ান টাইম কার্ড ব্যবহার করেছিল।
মেয়েটি যেখানে গতকাল কাজ করেছিল তারা সেই ঠিকানা খুঁজে বের করে। সিওক ইওরিওং সে ঠিকানায় গিয়ে জিজ্ঞাসা করে। একটি মেয়ে বলে ওই মেয়েটি শুধুমাত্র একদিনের জন্য সেখানে ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল। তারা মেয়েটির কাছে ওই মেয়েটির নম্বর চায়। সে তাদেরকে মেয়েটির নম্বর দিয়ে দেয়। সিওক তাকে কল করে কিন্তু সে কল ধরে না। তখন ইওরিওং ওই মেয়েটির অন্য কোন তথ্য জানা আছে কিনা জানতে যায়। মেয়েটির সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল তারা পেয়ে যায়। তারা সেখানে একটি ছবি দেখতে পায় যা কিনা সাড়ে সাতটায় তোলা। তারমানে মেয়েটি সাড়ে সাতটায় প্রতিদিন স্টেশনে আসে। তাদের কাছে আমার তো ২০ মিনিট বাকি আছে সেখানে পৌঁছানোর জন্য। এক্সিট নম্বর আট এ একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাফে রয়েছে সেখানে একটি মিরর রয়েছে ওই জায়গা দিয়ে মেয়েটি যাতায়াত করে। সিওক তাদের টিমের বাকি দুই মেম্বারকে কল করে জানতে চায় তারা স্টেশনে কি কিছু দেখেছে কিনা? তারা বলে তারা নজর রাখছে কিন্তু এখনো কিছু দেখেনি।
এদিকে ইওরিওং গভীরভাবে কিছু ভাবতে থাকে। সে মনে মনে ম্যাপ ক্যালকুলেশন করতে থাকে। সিওলের যেই স্টেশনগুলোতে এক্সিট ৮ রয়েছে আর সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাফের সামনে মিরর রয়েছে এমন একটি স্টেশনই রয়েছে সেটা হলো হানিয়ান। এখানে আরোও একবার ইওরিওং তার মেধার পরিচয় দেয়।
তারা ইস্কুটি নিয়ে সেই স্টেশনে রওনা দেয়। দ্রুত গতিতে ইস্কুটি চালাতে থাকে ইওরিওং। ইতোমধ্যে সেই মেয়েটি ওই স্টেশনে পৌঁছে যায় যেখানে সেই বদমাশ লোকটি তাকে এনেস্থিসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করে গাড়িতে তুলে নেয়। ঠিক সেই সময় তারা সেখানে পৌঁছে যায়। ইওরিওং এর সন্দেহ জাগলে একটি গাড়ি তল্লাশি করতে চায়। গাড়িটির মধ্যে সেই মেয়েটি শুধু লোক বসেছিল। ইওরিওং জানলার মধ্যে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে গাড়ি থেকে লোকটিকে বের করার চেষ্টা করলে লোকটি গাড়ির জানলা হাতসহ আটকে দেয়। দূর থেকে সিওক তা দেখতে পায়। তার মাথায় তখন একটা কথা ঘুরছিল ইওরিওং তাকে বলেছিল এখানে ছিদ্র তো আপনি স্যার আর আমি সেই ছিদ্রকে বন্ধ করার জন্য এসেছি। সিওক স্কুটি নিয়ে তখন লাফ দিয়ে গাড়ির সামনের কাছে এসে পড়ে। সিওক গাড়ির উপরে এসে পড়ে তার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। সে বলতে থাকে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুলেন্স কল কর। কিছুক্ষণের মধ্যে সিওক পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়। ইতিমধ্যে পুলিশে আসে সেই দুই লোককে গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে নেয়। ইওরিওং দৌড়ে সিওক সিওক এর কাছে যায়। সিওক সাইবার ক্রাইম ডিভিশনকে ফোনে বলছিল হ্যালো সাইবার ক্রাইম ডিভিশন স্পাইক্যাম কেসে একজন ভিকটিম ছিল যিনি আমাদের একজন অফিসার আমি আপনার কাছে রিকোয়েস্ট করছি তার ভিডিওগুলো আপনারা ডিলিট করে দিন। একবার সবকিছু ডিলিট হয়ে গেলে আপনি দয়া করে আবারো আমাকে জানাবেন।এসব কিছুই ইওরিওং শুনতে পায়। সিওক যে অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ এখানেই তা প্রমাণ হয়ে যায়। পুলিশ স্টেশন এসে ইওরিওং তার ছবি বিলবোর্ডে বাকি পার্টনারদের সাথে রাখে। সিওক সেখানে এসে ছবিটি তুলে নেয় আর বলে তুমি আমাদের টিমে কাজ করতে পারবে না। গতকাল আমি মরতে মরতে বেচেছি। প্রতিদিন আমি এসব করতে পারবো না। সে ইওরিওং এর হাতে একটি ফাইল ধরিয়ে দেয় আর বলে এখানে তুমি যে ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙেছো আর সরকারি জিনিসের ক্ষয়ক্ষতি করেছ সেগুলো্র ফাইন লেখা আছে। আশা করছি জলদি তুমি এগুলো দিয়ে দিবে। যাওয়ার সময় সিওক ইওরিওংকে জিজ্ঞেস করে তুমি পুরো সাবের সব পথ চিনো। কোথায় কি আছে সব কিছু জানো। এত সবকিছুর পিছনে কি অন্য কোন কারণ আছে? ইওরিওং বলে আমি তখনই আপনাকে সত্যিটা বলব যখন আপনি আমাকে আপনার টিমে নিবেন। সিওক বলে তুমি এখন আসতে পারো। তখন আমরা দেখি ইওরিওং স্টেশনে গিয়ে একা একা বসে আছে । সে তার পুরনো স্মৃতি মনে করে বিমর্ষ হয়ে আছে। ইওরিওং এর একটি ছোট বোন ছিল যে কিনা তার জমজ বোন। তবে তার বোনটি ছিল আটিস্টিক। সিরিয়াল কিলিং এর একটি লাশ সাবওয়েতে পাওয়া গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় সাবওইয়ের প্লাটফর্ম এবং গেটের মাঝখান থেকে তার বোন গায়েব হয়ে যায়। অন্য সবার কেস পুলিশ নিলেও তার বোনের কেস নেয়নি কারণ তার বোনের কোন লাশ সাবওয়েতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই তার সাব ওয়েতে নজর রাখা শুরু। কে বা কারা তার বোনকে মেরে ফেলেছে! তার লাশই বা কোথায় আছে এই সব কিছু এক বড় রহস্য। এসব উত্তর খোঁজার জন্যই সে সময় সাবওয়ে পুলিশে যোগ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে।
এটিকে স্পাইক্যান কেসের ভিকটিম সাবওয়ে স্টেশনে আসে।সে অফিসারদের জন্য একটা গিফট নিয়ে আসে আর বলে আমি শুনেছি পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট আমার কেস নিতে রাজি হয়নি। আপনার আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের সেই মেয়ে অফিসার। আপনার না থাকলে আজ আমার কি যে হতো! সে মেয়ে অফিসে আসলে তাকে আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিবেন। এসব বলে মেয়েটি সেখান থেকে চলে যায়। ইওরিওংকে টিমে অন্তর্ভুক্ত না করায় সিওক এর উপর বাকি ২ মেম্বাররাও খুশি নয়। তারা বলে ইওরিওংকে অবশ্যই জানিয়ে দেবে। সে অনেক ভালো কাজ করেছে। সিওক তখন বারবার মেসেজে টাইপ করছিল ইওরিওংকে টিমে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু মেসেজ সে সেন্ড করছিল না। অনেক ভাবার পর পরের দিন রাতে সে ইওরিওংকে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়।সকালেই খুশিতে দৌড়ে সাবওয়ে স্টেশনে এসে হাজির হয় ইওরিওং। সে বলে আমি মন দিয়ে সব কাজ করব। ইওরিওং তার জন্য রাখা গিফটটি সবার মধ্যে ভাগ করে দেয়।
রাতে নাইট ডিউটির জন্য ইওরিওংকে স্টেশনেই ঘুমতে হবে। সেখানে লেডিসদের জন্য আলাদা কোন রুম ছিল না। তাই সিওক ইওরিওংকে তার রুমে শুয়ে পরতে বলে। সে বাইরেই ঘুমোবে। কিন্তু ইওরিওং এর চোখ বারবার শুধু সাবওয়ের চাবির দিকে যাচ্ছিল। এদিকে সাবওয়ে গোষ্ট ইনভেস্টিগেশন টিমের চিপ হামারি কেসের কোন ক্লুই পাচ্ছিল না। তার পার্টনার হিইয়োক তাকে সে বলে ইওরিওং এর জমজ বোনের কেসটি আমরা কেন নিচ্ছিনা? ওই একই দিনে তো তার বোন ও গায়েব হয়েছিল! আমরা যদি তাকে প্রথম ভিক্টিম হিসেবে ধরি তাহলে আমরা অনেকগুলো পেতে পারি। হামারি বলে কিন্তু আমরা তার বোনের কোন লাশ সাবওয়েতে খুঁজে পাইনি। তাহলে কেন এই কেসের সাথে আমরা তাকে অন্তর্ভুক্ত করবো? ড্রামাটির প্রথম পর্বের শেষ অংশে আমরা দেখতে পাই সাবওয়ের চাবি নিয়ে ইওরিওং রাতে একাই সাবওয়েতে চলে যায়। সেখানে খুবই ভয়ানক ভৌতিক একটা পরিবেশ। পিছন থেকে কে যেন ইওরিওংকে ক্ষতি করতে চাইছে। কি আছে এই সাবওয়ের মাঝে রহস্য? ইওরিওং এর কোন ক্ষতি হবে না তো? এসব কিছু আমরা পরবর্তী এপিসোডে জানবো। পরের এপিসোডটি দেখার জন্য আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটন টি অন করে দিন। কমেন্ট করে জানিয়ে দিন আপনাদের মতামত।সবাইকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।