হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ২০১৬ তে মুক্তি পাওয়া Raw মুভির কাহিনী। কাহিনীর শুরুতে আমরা দেখি একটি গাড়ি হাইওয়ের রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাত গাড়িটির সামনে একজন লোক এসে পডে। লোকটিকে বাচানোর জন্য রাস্তার পাশে গাড়টি নেমে যায় আর একটি গাছের সাথে এক্সিডেন্ট করে। তারপর আমরা দেখি গাড়ির সামনে চলে আসা লোকটি গাড়িটির দিকে আগাচ্ছে আর এখানেই মুভির দৃশ্যপট বদলে যায়।
এরপর এর দৃশ্যে আমরা দেখি রেস্টুরেন্টে জাস্টিন নামের একটি মেয়ে তারা বাবা মায়ের সাথে খাবার খাচ্ছিলো। তখন আমরা জানতে পারি জাস্টিনের বাবা মা খুবই কঠোর মানুষ আর তারা সম্পুর্ণ নিরামিষভোজী। যখন জাস্টিন খাবার খাচ্ছিলো তখন তার মুখে একটি মাছের টুকরো চলে আসে। যা দেখে জাস্টিনের মা সেই রেস্টুরেন্টের ওয়েটার এর উপর অনেক রেগে যায়। তিনি ওয়েটারকে খাবার পরিবর্তন করে আনতে বলেন।এইদিকে আমরা জাস্টিনকে দেখি তার মুখে মাছের টুকরো যাওয়ায় তার অনেক খারাপ লাগছিলো। কারণ সে আজ পর্যন্ত কখনো মাছ মাংসের স্বাদ নেয়নি।
এরপর খাবার শেষে জাস্টিনের বাবা মা জাস্টিনকে নিয়ে একটি কলেজে যায় ভর্তি করানোর জন্য। এই কলেজেই জাস্টিনের বাবা মা পড়াশুনা করেছিলো।এখানে আমরা জানতে পারি জাস্টিন একজন Animal Doctor হতে চায়। তার বোন এলেক্সিয়াও এই কলেজেই পডে। এরপর তারা দুইজন জাস্টিনকে সেই কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয় আর তাকে হোস্টেলে রেখে চলে যায়।
রাতে জাস্টিনের পরিচয় হয় তার রুমমেট এড্রিয়ান এর সাথে। এরপর আমরা দেখি কলেজের সব নতুন ছাত্রছাত্রীদের আজব ভাবে ওয়েলকাম করা হচ্ছিলো মানে এক কথায় তাদের রেগ দেয়া হচ্ছিলো। তখন সেখানে জাস্টিনকেও ডাকা হয়। জাস্টিন যখন সেখানে যায় তখন সে তার বোন এলিক্সিয়া এবং তার কুকুরকেও সেখানে দেখতে পায়। এলেক্সিয়া জাস্টিনকে একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে অনেক অদ্ভুত রকমের ছবি ছিলো। তখন এলেক্সিয়া জাস্টিনকে তারা বাব মার একটি ছবি দেখায়। ছবিটি তোলা হয়েছিলো যখন তারা এই কলেজে পড়তো।
এরপরের দিন কলেজে আসা নতুন স্টুডেন্টদের রক্ত দিয়ে গোসল করানো হয় আর সবাইকে কাচা মাংস খেতে বলা হয়। ওইখানে জাস্টিনের বোন এলেক্সিয়াও ছিলো। কিন্তু বড়ো বোন হওয়া সত্তেও সে তাকে কোন সাহায্য করেনা।সে তাকে বাকি স্টুডেন্টদের মতোই কাচা মাংস খেতে বলে।জাস্টিন নিরামিষভোজী ছিলো তাই সে কাচা মাংস খেতে মানা করে দেয় কিন্তু তার কথা শুনাএ জন্য সেখানে কেউ ছিলো না। তাই না চাইলেও তাকে কাচা মাংস খেতে হয়।
আরোও পড়ুনঃ সিক্কিন ১ম পর্ব পুরো ছবির গল্প ব্যাক্ষা সহ বর্ণণা
রাতে যখন সে ঘুমতে যায় তখন তার শরীর অনকে চুলকাচ্ছিলো। সে তার শরীরে অনেক রেশ দেখতে পায়।এর জন্য পরের দিনই সে ডাক্তার এর কাছে যাগ। ডাক্তার তাকে একটি ক্রিম দিয়ে বলে এগুলো ফুড পয়সোনিং অঅর্থাৎ খাদ্যে বিষ্ক্রিয়ার কারণে হয়েছে। এগুলো কিছুদিনের মধ্যেই চলে যাবে।
এইদিকে ওই কলেজে আরোও ৭ দিন নতুন স্টুডেন্টদের সাথে রেগেং হবে।জাস্টিনের কাছে কোন ফেন্সি ড্রেস ছিলো না। যার কারণে তাকে নিয়ে অনেক মজা করা হয়। এইজন্য জাস্টিন এলিক্সিয়ার কাছে যায় ফেন্সি ড্রেস আনতে যাতে সে রেগিং থেকে বাচতে পারে। এরপর সে যখন ডেশ নিয়ে তার রুমে যাচ্ছিলো তখন সে দেখে তার রুমের সব জিনিস পত্র নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই কাজ তাদের ছিলো যারা তাকে র্যাগিং করছিলো। সে কোন রকম তার জিনিস গুলি নিয়ে যখন তার রুমের সামনে আসে সে জানতে পারে তার রুমমেট এড্রিয়ান আসলে গে।
এরপরেএ দিন আমরা দেখতে পাই জাস্টনের প্রচুর খুদা লেগেছিলো। তার এই খুদা শুধু মাত্র মাংশ খেয়েই মিটানো সম্ভব। তারা জাস্টিনকে মাংসের স্বাদ বুঝিয়ে দিয়েছে যার কারণে তার মাংস খাওয়ার নেশা হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তার ফ্যামিলি নিরামিষাশী হওয়ায় সে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাংস কিনে খেতে পারছিলো না।
তাই সে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এক টুকরো মাংশো চুরি করে নেয় কিন্তু সে ধরা খেয়ে যায়। ওইদিকে এড্রিয়ান ও এসব দেখছিলো। সে বুঝতে পারে জাস্টিনের প্রচুর মাংশ খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই সে তাকে ক্যাম্পাসের বাহিরে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় মাংস খাওয়াতে। কিন্তু জাস্টিন এমন ভাবে মাংস খাচ্ছিলো দেখে মনে হচ্ছেলো অনেক দিন ধরে সে কিছু খায় নি। প্রচুর খাওয়ার পরও তার খুদা কোনভাবেই শেষ হচ্ছিলো না। এর পর সে রুমে এসে ফ্রিজের মধ্যে মাংস খুজতে থাকে। সে তখন সেখানে একটি কাচা মাংসের টুকরো দেখতে পায়। সে কাচাই মাংসের টুকরোটি খেয়ে ফেলে আর তার খুদাও মিটে যায়। যা দেখে আমরা বুঝতে পারি জাস্টিন আসলে শুধু মাংস নয় কাচা মাংস খেতে চাচ্ছিলো। তার খুদা শুধুমাত্র কাচা মাংস খাওয়ার মাধ্যমেই মিটে।
এরপর আমরা মুভিতে দেখি জাস্টিন তার শিক্ষকের সামনে বসে আছে। তিনি তাকে কিছু উপদেশ দিচ্ছিলেন পড়াশুনা নিয়ে। কিন্তু জাস্টিনকে আমরা দেখি সে তার নিজের চুল চিবিয়ে খাচ্ছিলো। ফলে সে ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করে ফেলে।সে নিজের অনেক চুল খেয়ে ফেলেছিলো। রাতে যখন সে তার বোন এলেক্সিয়ার রুমে যায় তখন সে সেখান একটি ক্রিম দেখতে পায় ঠিক যেইরকম ক্রিম তাকেও দেয়া হয়েছিলো। সে বুঝতে পারে এলেক্সিয়ার ও হয়তো তার মতো ফুড পয়সনিং হয়েছিলো।
এরপর আমরা দেখতে পাও এলেক্সিয়া একটি কেচি নিয়ে জাস্টিনের কাছে আসে তার শরীরের লোভ শেইভ করার জন্য। এর আগে কখনো শেইভ না করায় জাস্টিনের বিভিন্ন জায়গায় লোম বড়ো হয়ে গিয়েছিলো। সে জোড় করে তাকে শেইভ করতে থাকে। এতে জাস্টিন অসস্তি বোধ করতে থাকে। ফলে সে এলেক্সিয়াকে জোড়ে একটি লাথি দিয়ে দূরে ফেলে দেয়। যার কারণে এলেক্সিয়ার একটি আঙুল কেটে যায়। এলেক্সিয়া নিজের রক্ত দেখে বেহুশ হয়ে যায়। তখন জাস্টিন হাসপাতালে ফোন করে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আসতে কিছু সময় লাগবে তাই তারা জাস্টিনকে এলেক্সিয়ার আঙুল বরফের মধ্যে রেখে দিতে বলে। এর মধ্যে আমরা দেখি সেখানে এলেক্সিয়ার কুকুর চলে এসেছিলো। সে এলেক্সিয়ার পরে থাকা রক্ত পান করতে থাকে। যা দেখে জাস্টিনে মাংস খেতে ইচ্ছে হয়। তখন সে এলেক্সিয়ার কেটে যাওয়া আঙুল খেয়ে ফেলে। এর মধ্যেই এলেক্সিয়ার জ্ঞান ফিরে আসে আর সে জাস্টিনকে এইসব করতে দেখে ফেলে। কিন্তু সে তার পরিবারকে এই ব্যপারে কিছুই বলে না।
পরের দিন সকালে এলেক্সিয়া জাস্টিনকে নিয়্র একটি হাইওয়ে যায়। এইটা সেই হাইওয়ে যা আমরা মুভির শুরুতে দেখেছিলাম। হাইওয়েতে একটি গাড়ি আসছিলো। তখন এলেক্সিয়া চলন্ত গাড়ির সামনে এসে পড়ে। এলেক্সিয়াকে বাচাতে গিয়ে গাড়িটি এক্সিডেন্ট করে। গাড়িতে থাকা দুইজন লোকই মারা যায়। আর মুভির এখানে আমরা বড়ো একটি টুইস্ট দেখতে পাই। এলেক্সিয়া জাস্টিনকে বলে কলেজে এসে কাচা মাংস খাওয়ার পর আমারও এমন হয়েছিলো যা এখন তার সাথে হচ্ছে। সে এখন মানুষের কাচা মাংস খাওয়ার জন্য সবসময় পাগল হয়ে থাকে। আর তাকে এভাবেই মানুষের কাচা মাংস জোগাড় করতে হয়।
জাস্টিনও তখন কাচা মাংস খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে ছিলো। কিন্তু সে কাউকে মেরে এভাবে এসব করতে চাইছিলো না। তাই সে কোনরকমে নিজেকে কন্ট্রোল করে সেখান থেকে চলে আসে। কিন্তু দিনের পর দিন জাস্টিনের অবস্থা আরোও শোচনীয় হতে থাকে। যা দেখে বুঝা যাচ্ছিলো সে বেশি দিন আর নিজের খুদাকে কন্ট্রোল করতে পারবে না।
এর কিছুদিন পর জাস্টিন খুদার্থ প্রানীর মতো একটি পার্টিতে যায়। সেখানে তার উপর কিছু লোক রং ঢেলে দেয়। কিন্তু জাস্টিনের এতে কিছু যায় আসে না। সে সেখানে একটি ছেলে ঠোঁট চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। পার্টিতে থাকা সকলে এইসব দেখে অনেক বিচলিত হয়ে পড়ে। এরপর জাস্টিন রুমে ফিরে ফ্রেশ হতে থাকে। তখন তার খুদা আরোও বেড়ে গিয়েছিলো। তাই সে এড্রিনের কাছে আসে আর তাকে কাটতে চেষ্টা করে কিন্তু এড্রিন তাকে এই সুযোগ দেয় না। যার কারণে জাস্টিন তার নিজের হাতই কেটে ফেলে।
এরপর রাতে জাস্টিন এলেক্সিয়ার সাথে একটি পার্টিতে যায়। পার্টি শেষে এলেক্সিয়া জাস্টিনকে নিয়ে সেখানে একটি রুমে যায়। এরপর এখানে মুভির দৃশ্য পরিবর্তন হয়। এরপরের দিন আমরা দেখতে পাই জাস্টিন যখন কলেজে যায়, তখন কলেজের সবাই তার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। তখম এড্রিয়ান জাস্টিনকে এক কোনায় নিয়ে একটি ভিডিও দেখায়। ভিডিওতে দেখা যায় আগের দিন রাতে এলেক্সিয়া জাস্টিনের ভিডিও করে মজা নিচ্ছলো। তখন জাস্টিন এলেক্সিয়ার উপর রেগে যায়।
সে বের হয়ে এলেক্সিয়ার উপর আক্রমণ করে। তখন সেখানে ভয়ানক এক মারামারি শুরু হয়। কারণ তারা দুইজনই এক জন আরেক জনেন মাংস কাচা চিবিয়ে খাচ্ছিলো। ওইখানে কলেজের সবাই এই দৃশ্য দেখছিলো আর ক্যামেরায় সব কিছু রেকর্ড করছিলো। পরের দিন সকালে যখন সে ঘুম থেকে উঠে তখন সে এড্রিয়ানকে তার পাশে শুয়ে থাকতে দেখে। কিন্তু যখন সে এড্রিয়ানের বডিতে হাত দেয় তখন সে এড্রিয়ানের গালে রক্ত দেখে বুঝতে পারে সে মারা গেছে। তখম সে ভেবেছিলো সেই হয়তো তাকে মেরেছে।
কিন্তু আসল খুনী তো নিচে বসেছিলো। আসলে এলেক্সিয়ার অনেক খুদা লেগেছিল আর সে মাংসের জোগারও করতে পারছিলো না। তাই সে এড্রিয়ানকে মেরেই খেয়ে ফেলে। এইসব কিছু তার জন্য কমন ছিলো। কিন্তু জাস্টিনের জন্য এইসব ছিলো নতুন। তাই সে এলেক্সিয়াকে গোসল করায়, তারপর তাকে ম্যাকাপ করিয়ে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে সে পুলিশকে সব ঘটণা খুলে বলে। তাই পুলিশ এলেক্সিয়াকে জেলে বন্দি করে। এরপর আমরা দেখি জাস্টিন তার বাড়িতে ফিরা আসে।আর সে তার বাবা মার সাথে খাবার খাচ্ছিলো।
আর তখন আমরা মুভীর আরেকটি টুইস্ট দেখতে পাই। জাস্টিনের বাবা তাকে বলে এই সব কিছুতে তার কোন দোষ নেই। কাচা মাংস খাওয়ার সমস্যা তাদের সবার আছে। মানে এই সমস্যাটি জেনেটিক। মানে এককথায় তারা ছিলো নরখাদক। তারা বাবা মা চাইতো তাদের মেয়েও এভাবে তাদের মতো কাচা মাংস খাক তাই তারা তাকে মাংস খাওয়া থেকে সবসময় দূরে রেখেছিলো। আর মুভি এভাবে এখানেই শেষ হয়।
আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে এই মুভিটির এক্সপ্লেনেশন? যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটনটি প্রেস করে ফেলুন যাতে আমাদের নতুন কোন ভিডিও আসলে সবার আগে নোটিফিকেশন চলে যায় আপনার কাছে।